চট্টগ্রামে করোনায় নতুন আক্রান্ত ৮২ জন

চট্টগ্রামে নতুন ৮২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল শুক্রবার ১ হাজার ৮২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৮২ জনের মধ্যে ৭৪ জন শহরের বাসিন্দা এবং পাঁচ উপজেলার ৮ জন। উপজেলা পর্যায়ে ৮ জনের মধ্যে ফটিকছড়ি, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং রাউজান ও সীতাকু-ে ১ জন করে রয়েছেন। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৩৪ হাজার ৮৫৭ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭ হাজার ৩৪৮ জন এবং গ্রামের ৭ হাজার ৫০৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৭১ জনই রয়েছে। এতে শহরের ২৭০ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬৫ জন। ফলে আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩২ হাজার ৭০ জনে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা করিয়েছেন ৪ হাজার ৪২০ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন ২৭ হাজার ৬৫০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন শুরু করেছেন নতুন ২৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৯৬২ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গত ২৫ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি এ মাসে একবারই শতক পেরিয়ে (১০৮ জন) যায়। শনাক্ত বাহকের সংখ্যা পঞ্চাশের নিচে নেমেছিল দুই দিন। এর একদিন (৬ ফেব্রুয়ারি) করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ড হয়। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়া, চট্টগ্রামে গত নয় দিন করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ১৭ ফেব্রুয়ারি করোনায় আক্রান্তদের একজন মারা যান।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে এদিন সবচেয়ে বেশি ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে ১১ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫৭৭ জনের নমুনার মধ্যে ৪৩ জন ভাইরাসবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬৬ টি নমুনার ৮ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২৭ টি নমুনার ৪ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৩৪, শেভরনে ১৩৩ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে যথাক্রমে ৯, ৪ ও ৩ জন ভাইরাসবাহক বলে শনাক্ত হন। এদিন চট্টগ্রামের ৭৪ টি নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
তবে জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, চমেকে ৭ দশমিক ৪৫, সিভাসু’তে ১২ দশমিক ১২, চবিতে ১৪ দশমিক ৮১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ৭২, শেভরনে ৩ দশমিক ০১ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।