চট্টগ্রামে করোনায় নতুন ৭ জন আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন ৭ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ সময়ে জেলার কোথাও করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর এগারো ল্যাবরেটরি এবং এন্টিজেন টেস্টে বৃহস্পতিবার ৭১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৭ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫ জন ও দুই উপজেলার ২ জন। উপজেলার ২ জনের মধ্যে ফটিকছড়ি ও সন্দ্বীপের একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৫৮১ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৫৭ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৫২৪ জন। বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি ১৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

সরকারি পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৯৯ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৩৬ জনের নমুনায় গ্রামের একজনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৩ টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ২ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে পরীক্ষিত ৫ টি নমুনারই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একজনও আক্রান্ত নন বলে জানানো হয়।

এদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৭৩, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৮২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৮৪ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সাত ল্যারেটরিতে পরীক্ষিত ৪২৭ জনের নমুনার একটিতেও করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়নি।

এদিন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ০৪, চমেকহা’য় ২ দশমিক ৭৭ ও আরটিআরএলে ৬৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং চবি, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাব, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান