চট্টগ্রামে করোনায় ২ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্ট, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি এবং নগরীর ছয়টি ল্যাবে শনিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪ জন ও পটিয়া উপজেলার একজন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ২২৭ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৯৬৭ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৬০ জন।
শনিবার করোনায় শহর ও গ্রামের একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩২৫ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৯ ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বুথে ২ জনের এন্টিজেন টেস্টে একজনও সংক্রমিত নন বলে জানানো হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৫ টি নমুনার মধ্যে একটি পজিটিভ চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৫১৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে শহর ও গ্রামের একটি করে নমুনায় ভাইরাস পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৩টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১১ টি নমুনা পরীক্ষায় একটিতেও জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৪১ শতাংশ, আরটিআরএলে ২০, শেভরনে ০ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং চমেকহা, চবি, এন্টিজেন টেস্ট, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল এবং এপিক হেলথ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।