চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ কমেছে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার কমেছে। টানা ১২ দিন ৮ শতাংশের ওপরে থাকার পর গতকাল তা কমে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে। সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৬০ জন।

এ সময়ে করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্ট মতে, নগরীর ছয় ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৮৮৯ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে ৬০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। ফলে জেলায় চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৯ হাজার ৭০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজ কে জানান, ‘গত কয়েকদিন সংক্রমণের হার বেশি থাকার পর গতকাল হঠাৎ কমে এসেছে। এদিন কোনো মৃত্যুও নেই। করোনাক্রান্ত ৩০ জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৬০৩ জন। নতুন জীবাণুবাহকদের মধ্যে ৫৬ জন শহরের বাসিন্দা এবং গ্রামের ৪ জন।’

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়,সোমবার সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে। এখানে ৩০২ জনের নমুনার মধ্যে ২৮ জন করোনা শনাক্ত হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এর মধ্যে ৯ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৩৮ জনের নমুনায় ৩ জন করোনা শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) একটি নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা হলেও নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। বেসরকারি তিন হাসপাতালের মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০৬ এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে যথাক্রমে ১২ ও ৪ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। অপর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

এদিন চট্টগ্রামের ৮০টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো জয়। পরীক্ষায় একটিতেও ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।