চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ হার ২ শতাংশের নিচে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার ২ শতাংশের নিচে নেমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময় করোনায় একজনের মৃত্যু হয় এবং সুস্থ হন ১৩ জন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর ৮ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫শ’ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২৯ জনের মধ্যে শহরের ১৬ জন এবং সাত উপজেলার উপজেলার ১৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৮৭৯ জন।

সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৭৬৬ ও গ্রামের ২৮ হাজার ১১৩ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ১৩ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ জন, রাউজান, ফটিকছড়ি ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং সীতাকু-, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় গ্রামের এক রোগি মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩০৫ জন হয়েছে। এর মধ্যে ৭২০ শহরের ও ৫৮৫ জন গ্রামের। আরোগ্যলাভ করেছেন ১৩ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৮৯৮ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৬০১ জন ও বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৭৬ হাজার ২৯৭ জন। হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে নতুন করে যুক্ত হন ৭৭ জন। ছাড়পত্র নেন ৪৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৯০১ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে গ্রামের ১ জন করোনা আক্রান্ত চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫ ও গ্রামের ২ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬২টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ৫টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭৬ জনের নমুনায় শহরের ১ ও গ্রামের ২ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১২৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৪ ও গ্রামের ২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৬২ নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৯১টি নমুনায় গ্রামের একটি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৪১ নমুনার মধ্যে শহরের ২টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১০, ল্যাব এইডে ৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের ৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করে একটিতেও ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।

এদিন আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ২৪ শতাংশ, চমেকে ৪ দশমিক ৩২, সিভাসু’তে ৪ দশমিক ৯৪, চবি’তে ৩ দশমিক ৯৫, এন্টিজেন টেস্টে ৪ দশমিক ৬৫, শেভরনে ০ দশমিক ২৭, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ১০, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪ দশমিক ৮৮ এবং মেডিকেল সেন্টার, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান