চট্টগ্রামে নতুন ৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ সময় কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর ছয়টি ল্যাবে গতকাল শুক্রবার ১ হাজার ২৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৭৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৯ জন ও পাঁচ উপজেলার ১০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে ৪ জন, সীতাকু- ও হাটহাজারীতে ২ জন করে এবং বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৪ হাজার ৩৫১ জন। এর মধ্যে শহরের ২৬ হাজার ৯০৫ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৪৪৬ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৭১ জনই রয়েছে। সূস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৪৯ জন। এতে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৯০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩৭০ জন ও বাসা থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৭ হাজার ৩২০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২০ জন। ছাড়পত্র নেন ১০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৩৯ জন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ দিন ধরে চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। চলতিমাসে একবারই শতক পেরিয়ে যায়। শনাক্ত রোগী আশি থেকে ওপরে উঠেছিল আরো চার দিন। ১৮ ফেব্রুয়ারি ৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৮২ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ৭ ফেব্রুয়ারি ৮০ জন করোনা শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ছিল ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২ ফেব্রুয়ারি ৮০ জনের দেহে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। উল্লেখিত দিনে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ডটিও এ মাসে। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ছিল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
বুধবারের ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৬১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪১১ জনের নমুনার মধ্যে ২১ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
নগরীর তিন বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৮টি নমুনায় ১৪ এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৮টির মধ্যে ১টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তবে এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, চমেকে ৫ দশমিক ১১, চবিতে ০ শতাংশ, শেভরনে ১০ দশমিক ১৩, ইম্পেরিয়ালে ২০ দশমিক ৫৯ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।