চট্টগ্রামে নতুন ৯৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

চট্টগ্রামে নতুন ৯৬ জনের নমুনায় করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে দ্বাদশ দিনের মতো করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর সাতটি এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৯৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৭ জন এবং ছয় উপজেলার ১৯ জন। ফলে জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে এখন ২০ হাজার ৮৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাটহাজারীতে ৫ জন। এছাড়া, রাঙ্গুনিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও পটিয়ায় ৩ জন করে এবং সীতাকু-ে ২ জন রয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজ সকালে বাসস’কে জানান, ‘করোনাভাইরাসে সংক্রমিতদের মধ্যে সোমবার কারো মৃত্যু হয়নি। এটি ছিল চট্টগ্রামে মৃত্যুহীন দ্বাদশ দিবস। সর্বশেষ দু’জন মারা যান ১৪ অক্টোবর। সেদিন ২ জনের মৃত্যু ঘটেছিল। মৃতের সংখ্যা ৩০১ জনই রয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ হারও রোববারের তুলনায় কিছু কমেছে। রোববার ৯২ জনের নমুনায় ভাইরাস শনাক্ত হয়, সংক্রমণ হার ছিল ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এর আগের দিন অর্থাৎ শনিবারের সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গতকাল সুস্থ হয়েছেন আরো ২৬ জন। এতে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৪৩৬ জনে।’

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে।

এখানে ৬১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪১৩ জনের নমুনায় ৪৩ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬৬টি নমুনার মধ্যে ১৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ জন জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন।

বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৫৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৮ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শেভরনে ১২টি, ইম্পেরিয়াল এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ টি করে নমুনায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।

এদিন চট্টগ্রামের ৭০টি নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় ৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) কোনো নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়নি।