চট্টগ্রামে ৬৯ জন করোনা শনাক্ত

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে গতকাল ৬৯ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ০২ শতাংশ।
এটি ছিল একশ’র নিচে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের টানা সপ্তম দিন। এক সপ্তাহের হিসোবে দেখা যায়, ১৮ জানুয়ারি নতুন বাহক শনাক্ত হয় ৯৮ জন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। করোনায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। ১৭ জানুয়ারি ৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ সময়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ১৬ জানুয়ারি ৬৫ জন নতুন বাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। করোনায় কেউ মারা যায়নি। ১৫ জানুয়ারি ৮৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলে। হার ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এদিন কারো মৃত্যু হয়নি। ১৪ জানুয়ারি নতুন ৯১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে একজন মারা যায়। ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে করোনাকালের সর্বনি¤œ সংক্রমণ হারের রেকর্ড হয়। এক হাজার ৭৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এদিন করোনায় কেউ মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৬৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৭ জন ও আট উপজেলার ১২ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩২ হাজার ৩৩২ জন। এর মধ্যে শহরের ২৫ হাজার ১৮৯ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ১৪৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজান, সীতাকু-, আনোয়ারা ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, মিরসরাই ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬৬ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫১ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার ২৫৩ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮৩ জন এবং বাসা থেকে ২৬ হাজার ১৭০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৭০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪০৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টার ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৬৬ টি নমুনার ১৬ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ৭৪ জনের নমুনায় ১৭ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১৫ টি নমুনার ১ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৫০ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৯ টির মধ্যে ৯ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭ টি নমুনার ২ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৩৩ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবক’টিরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ১০ শতাংশ, চমেকে ৩ দশমিক ৪৩, চবি’তে ২২ দশমিক ৯৭, আরটিআরএলে ৬ দশমিক ৬৭, শেভরনে ৮ শতাংশ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৩ দশমিক ০৮ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।