চট্টগ্রাম-কুয়ালালামপুর রুটে ফের আসছে মালিন্দো এয়ার

দীর্ঘ ২২ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ শে মার্চ থেকে চট্টগ্রাম-কুয়ালালামপুর রুটে ফের আকাশে উড়ছে মালিন্দো এয়ার। রিটার্ন টিকেটসহ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার টাকা।

সপ্তাহে প্রতি রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই ফ্লাইট অপারেট করা হবে। শুরুতে তিন মাস অর্থাৎ জুন মাস পর্যন্ত বিশেষ কার্যক্রমে মালিন্দো এয়ার যাত্রীদের সাশ্রয়ী ভাড়াসহ বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে বলে মালিন্দো এয়ারওয়েজ সুত্রে জানা গেছে।

মালিন্দো এয়ারের বাংলাদেশ ও নেপালের এরিয়া ম্যানেজার এমগুনাসেকর জানান, মালয়েশিয়ার বেসরকারি ফ্লাইট অপারেটর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ইআর এবং বোয়িং ৭৩৭-৯০০ ইআর মডেলের অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট দিয়ে চট্টগ্রাম-কুয়ালামপুর রুটে ফ্লাইট অপারেট করা হবে। সোয়া তিন ঘণ্টায় ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে কুয়ালালামপুর পৌঁছাবে। এই এয়ারক্রাফটে ১২টি বিজনেস ও ১৫০টি ইকোনমি ক্লাস আছে।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে কুয়ালালামপুরের যাত্রীরা ৩০ কেজি পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করতে পারবেন। হাত ব্যাগে পরিবহনের সুযোগ পাবেন আরো সাত কেজি। চট্টগ্রাম থেকে প্রচুর মানুষ গোয়াংজুসহ পূর্বদিকের নানা গন্তব্যে যান। বর্তমানে তারা ঢাকা থেকে যান। আমরা চাই চট্টগ্রামের মানুষ চট্টগ্রাম থেকেই কুয়ালামপুর যাবেন; ঢাকা থেকে নয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৮শে আগস্ট ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে মালিন্দো এয়ার। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার যৌথ বিনিয়োগে মালয়েশিয়াভিত্তিক মালিন্দো এয়ার ঢাকা থেকে বোয়িং বিমানে স্বল্প খরচে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়ায় কম সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়। ঢাকার পর ২০১৪ সালের ১৬ই জানুয়ারি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কুয়ালালামপুর ফ্লাইট চালু করেছিল মালিন্দো এয়ার। বেশ ভালো যাত্রী পাওয়ার পরও ২০১৪ সালের শেষের দিকে অভ্যন্তরীণ জটিলতা এবং কুয়ালালামপুরের দ্বিতীয় টার্মিনালে বিমান অবতরণ করায় যাত্রীরা বেশ ভোগান্তির শিকার হন। এরপর ব্যবসায়িক জটিলতার কারণে ২০১৫ সালের মে মাসে মালিন্দো এয়ার চট্টগ্রামে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল।