চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোট পুনঃগণনা

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী ওমর সানীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় ভোট গণনা চলছে। রোববার ওমর সানী নির্বাচন কমিশন বরাবর ভোট বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদন আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ড পুনরায় ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়।

নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, ফলাফলে অসঙ্গতি রয়েছে দাবি করে ওমর সানি আপিল বিভাগে লিখিত আবেদনপত্র দিয়েছেন। আবেদনকারী ওমর সানীকে কাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত সময় দেওয়া আছে। ফলাফল যা হবে ওই সময়ে তাঁর উপস্থিতিতে তা প্রকাশ করা হবে।

আপিল বিভাগের প্রধান হিসেবে রয়েছেন নাসিরুদ্দিন দিলু। তার দুই সহকারী হিসেবে আছেন খোরশেদ আলম খসরু এবং মোহাম্মদ শামসুল আলম।

আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন দিলু জানান, সোমবার ৮ মে দুপুর ১২টা থেকে নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডের সব সদস্যদের উপস্থিতিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে এই ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে ভোট গণনা শেষ হতে পারে।

আবেদনপত্রে ওমর সানী উল্লেখ করেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট কাস্ট হয়েছে ৫৫৮টি। এর মধ্যে ৮৯টি ভোট বাতিল বলে নির্বাচন বোর্ড প্রকাশ করেছে। মোট ফলাফল অসঙ্গতিপূর্ণ। কেননা সভাপতি তিনজনের ভোট যোগ করলে মোট ৪৬৯টি ভোট হওয়া উচিত। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৪৫৬টি।

ওমর সানী বলেন, অন্যান্য পদে প্রাপ্ত ভোটের যোগফল কোনোভাবেই বৈধ ব্যালটের সঙ্গে মিলে না। যেমন- কার্যনির্বাহী মোট ভোট হওয়া উচিত ৫৬২১টি। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৫৬৬৫টি। তাহলে অতিরিক্ত ৪৪টি বেশি ভোট কোথা থেকে এলো? এমনকি কোষাধ্যক্ষ পদে তিন প্রার্থীর মোট ভোট ৪৬৫টি, কিন্তু হওয়া উচিত ৪৬৯টি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ সভাপতি শাকিব খান পদাধিকার বলে ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গণনার সময় জোরপূর্বক তাকে অফিস থেকে বের করে দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। বিকেলের দিকে অনেক ভোটার বাঁধার মুখে এফডিসিতে প্রবেশ করতে না পেরে ভোট না দিয়েই চলে যান। আমি মনে করি একটি পক্ষ তাদের স্বার্থে নির্বাচন বোর্ডকে প্রভাবিত করেছে। এমতাবস্থায় এ রকম অসঙ্গতিপূর্ণ ফলাফলে সম্পূর্ণ কারচুপির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে এ ফলাফল বাতিল তথা নির্বাচন বাতিল করার আবেদন করছি।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৮ মে ২০১৭