চলে গেলেন বারী সিদ্দিকী

বাংলাদেশের খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও বাঁশিবাদক বারী সিদ্দিকীর প্রায় এক সপ্তাহ লাইফ সাপোর্টে থাকার পর চলে গেলেন সব মায়া ছেড়ে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তথ্য সুত্রে জানা যায় ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিডনির বিভিন্ন সমস্যাজনিত অসুখে তিনি ভুগছিলেন।
১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোণার এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশবে পরিবারের কাছে গান শেখায় হাতেখড়ি হয়। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষ, ওস্তাদ আমিনুর রহমান সহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের উপর পড়াশুনা শুরু করেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পন্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সাথে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন।
একজন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী মূলত গ্রামীণ লোকসংগীত ও আধ্যাত্মিক ধারার গান করতেন। তার গাওয়া ‘শুয়া চান পাখি’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘তুমি থাকো কারাগারে’, ‘রজনী’ প্রভৃতি গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবার কাছে বারী সিদ্দিকী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর। এই ছবিতে তার গাওয়া ছয়টি গানই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
নেত্রকোনায় তার গ্রামের বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে তিনি এখন চির নিদ্রায় শায়িত আছেন।
আজকের বাজার: সালি / ৩০ নভেম্বর ২০১৭