চাপের মুখে ভাইরাস প্রতিরোধে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল ম্যার্কেলের

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতির এ দেশে ভাইরাসের লাগাম টেনে ধরতে আরোপ করা বিভিন্ন বিধিনিষেধ পর্যায়ক্রমে শিথিল করার ব্যাপারে বুধবার সম্মত হয়েছেন। রাজনৈতিক চাপে নতি স্বীকার করে এবং সাধারণ নির্বাচনের সাত মাস আগে জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়ে তিনি এ ব্যাপারে সম্মত হলেন। খবর এএফপি’র।
খবরে বলা হয়, নয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর ম্যার্কেল ও জার্মানির ১৬ আঞ্চলিক নেতা নতুন করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া এবং এর নতুন ধরণ নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও শাটডাউনের কয়েকমাস পর ধাপে ধাপে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন।
বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘আজ আমরা মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যাপারে আশার এবং নতুন পর্যায়ে উত্তরণ নিয়ে আলোচনা করতে পারি।’
ম্যার্কেল বলেন, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ শিথিল করা ছিল যুক্তিসংগত কারণ দেশে দ্রুত ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে এবং গণহারে কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ইউগভের এক জরিপে দেখা যায়, জার্মানির মাত্র ৩৫ শতাংশ নাগরিক বর্তমান শাটডাউনকে সমর্থন করে। গত বছর মহামারির শুরুতে শাটডউনের প্রতি সমর্থনের হার ছিল ৭৩ শতাংশ।
এ প্রেক্ষাপটে সোমবার থেকে জার্মান নাগরিকরা সামাজিকতা বাড়ানোর সুযোগ পাবে। এ সুবিধার আওতায় দুই পরিবারের সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে একত্রিত হওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। কিশোররা এই হিসাবের বাইরে থাকবে।
বর্তমানে এক পরিবারের একজনের সাথে অপর পরিবারের কেবলমাত্র আরেকজনের সাক্ষাতের সুযোগ রয়েছে।