চিকিৎসক খুনের প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ছবি: চিকিৎসক শাহ আলম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চিকিৎসক শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর)দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হাবিব রোড এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র‍্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও ২৭টি গুলি জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাবের ভাষ্য, নিহত নজির আহমেদ কুমিরায় খুন হওয়া শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শাহ আলম হত্যার প্রধান আসামি। তিনি উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

র‌্যাব আরো জানায়, চিকিৎসক শাহ আলম হত্যায় জড়িত সন্দেহে র‌্যাব মঙ্গলবার লেগুনা চালক ওমর ফারুককে (১৯) আটক করে। তার দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত কালুকে আটকের জন্য র‌্যাব বাঁশবাড়িয়ায় অভিযানে গেলে তাদের উপস্থিতি দেখে কালু ও তার সহযোগীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব পাল্টা গুলি করলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে কালুর গুলিবিদ্ধ লাশ এবং অস্ত্র পাওয়া যায়।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী তারেক আজিজ জানান, চিকিৎসক শাহ আলম বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল সীতাকুণ্ড থেকে নগরীর চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফিরতে একটি লেগুনায় উঠেন। গাড়িটিতে আগে থেকেই দুই ছিনতাইকারী ছিলেন। তারা রয়েল গেট এলাকায় পৌঁছে শাহ আলমের কাছ থেকে টাকা পয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় শাহ আলম বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়।

সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরার আজিজুল হকের ছেলে শাহ আলম দীর্ঘ ৩০ বছর সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তিনি নিজ গ্রামে শিশুদের জন্য ‘চাইল্ড কেয়ার’ নামে একটি মানসম্পন্ন ক্লিনিক চালু করেন।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান