চীনের প্রথম দেশীয় যাত্রীবাহী বিমানের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু

চীনের প্রথম অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি যাত্রীবাহী বিমান সি ৯১৯ রবিবার তার প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটে উড্ডয়ন করেছে। আকাশে পশ্চিমা প্রতিদ্ব›দ্ধীদের সাথে প্রতিযোগিতার জন্য দেশটির কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় এটি একটি মাইলফলক।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমইউ ৯১৯১ সকাল ১০:৩০ টার (গ্রীনিচ মান সময় ০২৩০) পরে সাংহাই হংকিয়াও বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড্ডয়ন করেছে।
সিসিটিভি জানিয়েছে, বিমানটি চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমইউ ৯১৯১ তে ১৩০ জন যাত্রী নিয়ে বেইজিংয়ের ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ফ্লাইটটি দুপুর ১টা ১০ মিনিটে  (গ্রীনিচ মান সময় ০৫১০) এর গন্তব্যে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েক ডজন যাত্রী সাদা রংয়ের চকচকে বিমানটির প্রশংসা করে সূর্যালোকিত সাংহাই এয়ারফিল্ডে জড়ো হচ্ছেন। পরে তারা রানওয়েতে ভিড়ানো বিমানটিতে আরোহণ করে।
সিসিটিভি রিপোর্টে বলা হয়, যাত্রীরা লাল বোর্ডিং পাস পেয়েছেন এবং ফ্লাইটের স্মরণে একটি বিশেষ ‘দুর্দান্ত খাবার’ উপভোগ করবেন।
চীন দেশীয় বিমান তৈরিতে প্রচুর বিনিযয়োগ করেছে কারণ এটিকে মূল প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চায়।
বেইজিং আশা করছে, সি ৯১৯, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এবং এয়ারবাস এ ৩২০ এর মত জনপ্রিয় বিদেশী মডেলকে চ্যালেঞ্জ করবে।
বিমানটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কমার্শিয়াল এভিয়েশন কর্প অফ চায়না (সিওএমএসি) তৈরি করেছে, তবে এর অনেক যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আনা হয়েছে।
সিসিটিভি জানিয়েছে, সোমবার থেকে সি ৯১৯ সাংহাই এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চেংডুর মধ্যে চায়না ইস্টার্নের নিয়মিত রুটে চলাচল করবে।
এটি ন্যারো-বডি জেটের প্রথম মডেল, যেখানে ১৬৪ জন যাত্রীর আসন রয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ডিসেম্বরে চায়না ইস্টার্নকে দেয়া হয়েছে।
সিওএমএসি-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝাং ইউজিন জানুয়ারিতে সাংহাই আউটলেট দ্য পেপারকে বলেছিলেন, কোম্পানি সি ৯১৯-এর জন্য ১,২০০টির বেশি অর্ডার নিয়েছে।