চীনে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

উচ্চ সংক্রামক ডেল্টা ভেরিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চীন ও অস্ট্রেলিয়ায় শনিবার কোভি-১৯ বিধি-নিষেধে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ভাইরাস আরো প্রাণঘাতি এবং মহামারি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ার আগে দ্রুত এর মিউটেশন প্রতিরোধে বিশ্বের প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহবানের পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
কয়েক মাসে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার আরো দু’টি এলাকা ফুজিয়ান প্রদেশ এবং মেগাসিটি চংকিংয়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
নানজিয়াং সিটিতে একটি ডেল্টা ক্লাস্টার সংক্রমণ থেকে ২শ’রও বেশী লোকের সংক্রমণের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, সেখানে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ৯ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। শনিবার সংক্রমণ বেইজিং, চংকিং এবং ৫টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
চীন থেকেই প্রথম কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, সে সময় এক মিলিয়নের বেশী লোককে লকডাউনে রেখে এবং গণ টেস্টিংয়ের মাধ্যমে অতি সংক্রামক ভাইরাস স্টেইন প্রতিরোধে সক্ষম হয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পুনরায় বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা দিয়ে বলেছে, সংস্থার ৬ টি অঞ্চলের মধ্যে ৫ টি অঞ্চলে গত ৪ সপ্তাহে সংক্রমণ গড়ে ৮০ শতাংশ বেড়েছে। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে এই সংক্রমণ লাফিয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ডেল্টা ভেরিয়েন্ট প্রথম ভারতে শনাক্ত হয়, এটি এখন বিশ্বের ১৩২ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
হু’র জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল রায়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এটি আরো বিপজ্জনক মিউটেশনের আগে এখন আমাদের আরো জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘গেম প্লান’ হিসেবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া এবং টিকাদান এখনো কার্যকর উপায়।
উচ্চ এবং নিন্ম আয়ের উভয় দেশই ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, টিকাদানে বৈষম্য রেখে, ব্যাপক লোককে টিকাদানের আওতার বাইরে রেখে আরো বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ লোককে টিকা দেয়া হয়েছে, ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় তৃতীয় বৃহত্তম নগরী ব্রিসবেন এবং কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের অন্যান্য অংশে শনিবার থেকে পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।