জয়পুরহাটে কোল্ড ইনজুড়ি থেকে বোরো বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করছেন কৃষকরা

জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা শৈতপ্রবাহের কারণে প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ও গভীর নলকূপের গরম পানি সেচ দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। জেলায় চলতি ২০২২-২০২৩ রবি ফসল চাষ মৌসুমে বোরো চাষ সফল করতে ৩ হাজার ৪শ ৯ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে বীজতলার বোরো বীজের চারা গুলো হলুদ বর্ণ ধারন করেছে। জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা শৈতপ্রবাহের কারণে প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ও গভীর নলকূপের গরম পানি সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বোরো বীজের জাত গুলোর মধ্যে রয়েছে বিআর- ১৬, ২৮, বিআর-২৯ ও ব্রি-ধান ৫০, ৫৮ ও ৫৯। কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বোরো বীজ সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্রসহ জেলার ১ শ ৬৫ জন বীজ ডিলারের মাধ্যম বীজ বিক্রি সম্পন্ন করা হয়। খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০২২-২০২৩ রবি ফসল চাষ মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭ শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬১ হাজার ৯ শ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে ৭ হাজার ৮ শ ৫০ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৬ শ ৮৬ মেট্রিকটন চাল। বোরো চাষ সফল করতে বর্তমানে জেলার কৃষকরা বোরো বীজতলর পরিচর্যা করছেন কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে। বর্তমানে জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা শৈতপ্রবাহের কারণে প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ও গভীর নলকূপের গরম পানি সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোছা: রাহেলা পারভীন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান