জলবায়ু বিষয়ে সহযোগিতার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একে অপরকে সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত জলবায়ু বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনের আগে শনিবার উভয় দেশের পক্ষে এ কথা বলা হয়েছে।
জলবায়ু বিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধি জন কেরির সাংহাই সফরের পর উভয় দেশের পক্ষে এক যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়। চীন সফরে যাওয়া কেরি বাইডেন প্রশাসনের প্রথম কর্মকর্তা।
বিবৃতিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উভয় দেশের যৌথভাবে কাজ করার আশা প্রকাশ করা হয়। যদিও অন্যান্য বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে আকাশ ছোঁয়া বিরোধ রয়েছে।
কেরি এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক চীনের বিশেষ দূত শি ঝেনহুয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীন অন্যান্য দেশকে সাথে নিয়ে একে অন্যকে সহযোগিতার অঙ্গীকার করছে।
জলবায়ুর এই সংকট জরুরি ও গুরুত্বের সঙ্গে অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম এই দুই অর্থনীতির দেশ জলবায়ু সহযোগিতার ক্ষেত্রে একাধিক উপায়ের কথাও উল্লেখ করেছে।
উল্লেখ্য জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী কার্বনের অর্ধেকই এই দুই দেশ নি:স্বরণ করে থাকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগামী সপ্তাহে ভার্চুয়ালি বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজন করছেন। এতে বিশ্বের অনেক নেতাই অংশ নিচেছন। তবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এতে অংশ নিচ্ছেন কিনা তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন জলবায়ু ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার পূর্বের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে করা প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েিিছলেন। বাইডেন ক্ষমতায় এসেই আবার চুক্তিতে ফিরে আসেন।
চলতি বছরের শেষে জাতিসংঘের নেতৃত্বে গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বাইডেন আশা করছেন তার আয়োজিত এই সম্মেলন জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় কঠোর অঙ্গীকারসমূহকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।