জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত: সিইসি

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশি প্রবাসী ভোটাধিকার সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক গোল টেবিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনেও তেমন সেনা মোতায়েন করা উচিৎ। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চাই না। যদিও এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ, আনসার ও বিডিআরের পাশাপাশি সেনাবাহিনী এবং কিছু এলাকায় নৌবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯/১৩০ ধারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু সিভিল পাওয়ার’ অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনারের জন্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা ও নৌবাহিনী ব্যবহার করার সুযোগ রাখা হয়েছিল।

এ বাহিনীকে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত শুধু ‘শো অব ফোর্স’-এর জন্য ব্যবহার করার সুযোগ ছিল। নির্বাচনের দিন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালনের সুযোগ হিসেবে প্রতিটি দলের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছিল। একই পদ্ধতিতে ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ও সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণপ্রতিনিধত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়।

১/১১-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচনি আইন সংস্কারে র‌্যাবকেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নয়, অধ্যাদেশের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

পরে, বিদায়ী রকিব উদ্দিন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে বাদ দেয়। এর ফলে সেনাবাহিনী ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্ট্রাইকিং বা রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

এস/