জাতীয় পার্টির ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন আগামীতে : এরশাদ

আগামী জাতীয় নির্বাচন জাতীয় পার্টির জন্য বিরাট পরীক্ষা এমনটা উল্লেখ করে দলটির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘এই নির্বাচন জাতীয় পার্টির জন্য ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন।’

রাজধানীর কাকরাইলে সোমবার (মার্চ ২৭) বিকেলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে এ কথা বলেছেন এরশাদ। সংগঠনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় ছাত্র সমাজ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেছেন, ‘তোমাদেরকে প্রতিটি কেন্দ্র দখল মুক্ত রাখার জন্য প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হতে হবে। সেই ভাবেই এখন থেকে প্রস্ততি নিতে হবে।’

দেশের চলমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘রাজপথে চলার মতো পরিবেশ নেই। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। বাক স্বাধীনতা নেই। বাঁচার অধিকার নেই। আমরা এমন দেশে চাই না। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছি মানুষের কাছে। এটা কি পালন করতে পেরেছি?’

তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, শান্তিপূর্ণভাবে দেশ গড়ে উঠবে; দুই দিন পর পর শুনি জঙ্গিবাদের উত্থান, মানুষ মরে, ‍গুলিতে আহত হয়। দুই দিন ধরে সিলেটে কি হচ্ছে তা আমরা দেখছি। শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ এখন নাই। বাংলাদেশ এখন সংঘাতের দিকে এগিয়ে চলছে। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম সুষ্ঠু গণতন্ত্র। আমরা কি বলতে পারি সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে বাংলাদেশে? হয়নি। পরস্পরের মধ্যে সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ, এটাও নাই।’

কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হলেজঙ্গিউত্থানহবেনা

আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে দেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের উত্থান হবে না।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষের ১০ কোটি ৩১ লাখ কর্মক্ষম। দেশে কর্মসংস্থান আছে ৫ কোটি ৮১ লাখ। ৫ কোটি কর্মক্ষম মানুষের কোনো কাজ না থাকায় এত সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গির উত্থান হচ্ছে। কাজ নেই বলে হতাশ হয়ে কর্মক্ষম মানুষেরা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক ও সন্ত্রাসে ঝুঁকে পড়ে।’

জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি সৈয়দ মো. ইফতেকার আহসান হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন-জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মুহম্মদ কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা, এস এম ফয়সল চিশতি, ফখরুল ঈমাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মিরু।