জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীমা খাতের আরও উন্নয়নে জনগণের মধ্যে সচেতনতা জোরদার করার আহবান জানিয়ে আজ জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধন করেছেন।
আজ সকালে তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি দিবসটির উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বীমা খাতকে ডিজিটালাইজড করাসহ জন প্রিয় করে এর সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এবারের বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বীমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাব সবাই মিলে’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) যৌথভাবে এ দিবসের আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইডিআরএর’র চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বীমা খাতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পাঁচ জনকে ‘বীমা পদক’ এবং দুই প্রতিবন্ধি শিশুকে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা পলিসি’ প্রদান করেন।
বীমা খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সাবেক সংসদ সদস্য ও বীমা ব্যক্তিত্ব মকবুল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে মরণোত্তর আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
বীমা খাতের উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য বীমা ব্যক্তিত্ব শেখ কবির হোসেন ও নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে পুরস্কৃত করা হয় এবং সরকারের সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খানকেও বীমা খাত এবং বঙ্গবন্ধুর অবদানের ওপর একটি তথ্যচিত্র নির্মাণে অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বীমা খাতের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
১৯৬০ সালের ১ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন। তাই সরকার প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কালের মহানায়ক, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ‘জাতীয় বীমা দিবস’কে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করেছে সরকার।