জাতীয় ‘ভিটামিন এ- প্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে আগামী ৫ জুন

সারাদেশে আগামী ৫ জুন থেকে পক্ষকালব্যাপি জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজ এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’এর সহায়তায় ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় পিআইবি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক কাজী গোলাম আহাদ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো. মহসিন মিয়া। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শারমিন আহমেদ তিথি।
মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, এ ক্যাম্পেইনে ঢাকা জেলার প্রায় ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ১৯ জুন দু’সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে এই ক্যাম্পেইন চালানো হবে। ক্যাম্পেইন চলাকালে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ০৯.০০ টা থেকে বিকেল ০৩.০০ টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে আসা প্রত্যেক শিশু ও তাদের অভিভাবকদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ঢাকা জেলার ধামরাই, দোহার, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও সাভারের ৬৩টি ইউনিয়নে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৬১ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ২৯ হাজার ৮২ জন শিশু।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য এ বছর কোনো অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে না। তাই নগরীর ছিন্নমূল শিশুসহ কোনো শিশু যাতে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানানো হবে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন এর সাফল্য বিঘিœত হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এতে লক্ষ্যমাত্রার শতকরা ৯২ ভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এবছরও সাফল্য আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, আজকের শিশুরাই সেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে মূল ভূমিকা পালন করবে। সে লক্ষ্য অর্জনে একটি সুস্থ-সবল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সার্বিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যেসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে, তার মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সেবন অন্যতম। তিনি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন সফল করতে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে সাংবাদিকদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান।