জুলাইয়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কার্যাদেশ

দেশের প্রধান বিমান বন্দর হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দীর্ঘ প্রতিক্ষীত তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কার্যাদেশ আগামী জুলাই নাগাদ দেয়া হতে পারে। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান আজ বাসসকে জানান, কাজটির দরপত্রের মূল্যায়ন চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুলাই মাসের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেয়ার ব্যাপরে আমরা আশাবাদি। তিনি জানান, দরপত্র আহ্বান করার পর জাপান ভিত্তিক দুটি কনসোর্টিয়াম কাজটি পেতে দরপত্র জমা দেয়। কোম্পানি দুটি হচ্ছে, জাপান শিমিজু কর্পোরেশন এবং টিসুবিশি।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ১৩,৬১০.৪৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। মোট প্রকল্প ব্যায়ের ২,৩৯৫.৬৯ কোটি টাকা পাওয়া যাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এবং বাকি ১১,২১৪.৭৮ কোটি টাকা পাওয়া যাবে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে। জাপানে জাইকার সদর দপ্তরে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, জাপান টেকনিক্যাল প্রস্তাবে সম্মতি দিলে, আমরা এখানে আর্থিক প্রস্তাব উন্মুক্ত করবো। সিএএবি চেয়ারম্যান জানান, তিন থেকে চার বছরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে বলে তারা ধারনা করছেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ প্রকল্পটির অন্ততঃ আংশিক কাজ শুরু করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদি।
নতুন আর্ন্তজাতিক যাত্রী টার্মিনাল ভবনে প্রায় ২২.৫ লাখ বর্গফুট স্পেস থাকবে। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে একসঙ্গে প্রায় ১০ লাখ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। তৃতীয় যাত্রী টার্মিনালের অংশ সম্প্রসারন প্রকল্পের অধীন ভবনে ৫,৯০০ মিটার ভিভিআইপি কমপ্লেক্স, ৪১ হাজার ২০০ মিটার কর্গো ভবন এবং টানেলসহ বহুমুখী কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ত হলে বিমানবন্দরে বার্ষিক যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি হবে এবং কর্গো ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। এ ছাড়া তৃতীয় টার্মিনালে কয়েকটি এক্সিট ও কানেকটিং ট্যাক্সি পথ নির্মিত হবে। এয়ারপোর্ট রোডের সাথে টার্মিনালের নতুন সংযোগ সড়ক ও ড্রেনও নির্মিত হবে । উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট, পাওয়ার সাপ্লাই, রিসকিউ এবং অগ্নিনির্বাপণ সুবিধাও থাকবে।