জেরুজালেমে দ্বিতীয় রাতের মতো বিশৃংখলা

সম্প্রসারিত পূর্ব জেরু জালেমে শুক্রবার দ্বিতীয় রাতের মতো ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরাইলি পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধির এবং হামলার ভিডিও পোস্ট দেয়ায় জনতার বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে সেখানে এমন বিশৃংখলাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। খবর এএফপি’র।
বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষের পর নতুন করে এ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। প্যালেস্টিনিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানায়, সেখানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি পুলিশ জানিয়েছে, এ সময় তাদের ২০ কর্মকর্তা আহত হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাস চলাকালে ফিলিস্তিনিরা সাধারনত: যে সকল স্থানে ব্যাপক হারে সমবেত হয়- বৃহস্পতিবার ইসরাইলি পুলিশ সে সকল স্থানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। এর ফলে প্রাচীর বেষ্টিত ওল্ড সিটির প্রবেশ পথগুলোর একটির বাইরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
মার্চ মাস শেষে কট্টরপন্থী ইহুদিদের আগমনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় তারা ফিলিস্তিনিদের হয়রানি করে এবং ‘আরবরা নিপাত যাক’ শ্লোগান দেয়।
শুক্রবার দিনের বেলায় শান্ত থাকার পর মাগরিবের নামাজের পর হাজার হাজার মুসল্লি আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গন ছেড়ে যাওয়ার সময় আবারো বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ফিলিস্তিনিদের অশ্বপৃষ্ঠে থাকা কর্মকর্তাসহ সশস্ত্র পুলিশ সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
মুসল্লি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে ফিলিস্তিনিরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে বোতল নিক্ষেপ করে। এ সময় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ স্টান গ্রেনেড ছুড়ে।
পুলিশ জানায়, অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেরুজালেম ও রামাল্লাহ নগরীর মধ্যবর্তী কালানদিয়া ক্রসিংয়েও শুক্রবার শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিক সমবেত হয়।
পুলিশ আরো জানায়, পশ্চিম তীরের বেথলহেমে ফিলিস্তিনিরা বাইবেলে উল্লেখ থাকা পরিবার কর্ত্রী রাচেলের সমাধিস্তম্ভ লক্ষ্য করে পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। স্থানটি ইহুদি ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র শ্রক্রবার জানিয়েছে, জেরুজালেমে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় তারা ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে ইসরাইলের মিত্র এ দেশ ফিলিস্তিনিদের বৃহত্তর অধিকার রক্ষাকে উৎসাহিত করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।