জয়পুরহাটে বোরোধানে পোকামাকড় দমনে ব্যবহার হচ্ছে আলোক ফাঁদ

জয়পুরহাটের কৃষকরা বরাবরই বোরো ধান চাষে বেশি আগ্রহী। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে প্রতিবছর পোকামাকড় বোরো ধানের অনেক ক্ষতি করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কৃষক। এ বছর সেই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় ও দমনের জন্য অভিনব এক ফাঁদ তৈরি ব্যবহার করছে কৃষকরা। এই ফাদেঁর নাম আলোক ফাঁদ।

জেলার সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, সদরের ৯টি ইউনিয়নের ৮১টি ব্লকে সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে বোরো ধানে পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য ওই আলোক ফাঁদ ব্যবহার কার্যক্রম চলছে। এতে করে বোরো ধানে কি ধরনের পোকার আক্রমণ হয়েছে তা জানা যাবে। একই সঙ্গে পোকা দমনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

সদর উপজেলার হাড়াইল এলাকায় মঙ্গলবার রাতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার বিষয়ক এক চাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।

সেখানে চাষিদের বোরো ধানের জমিতে নিয়ে হাতে-কলমে আলোক ফাঁদের ব্যবহার শেখানো হয়। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাসহ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭১ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও ৭২ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৯৫ হেক্টর বেশি। এতে প্রায় ৩ লাখ মে. টন চাল উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবারও বোরোর বাম্পার ফলন হবে এমনটি আশা প্রকাশ করেন কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম।

আরএম/