জয়পুরহাটে বোরো’র চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

আলুর বাম্পার ফলনের পরেই খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট জুড়ে বোরো’র চারা রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বোরো চাষ সফল করতে জেলার কৃষকরা বোরো বীজ প্রস্তুত করেছেন কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে। চলতি ২০১৯-২০ রবি ফসল চাষ মৌসুমে জেলায় ৭২ হাজার ২ শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল(উফশী)জাতের ৬২ হাজার ৮ শ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে ৯ হাজার ৪ শ হেক্টর জমি। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯ শ ৯ মে.টন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বোরো ধানের মধ্যে রয়েছে বিআর-১৬, ২৮, বিআর-২৯ ও ব্রি-ধান ৫০, ৫৮ ও ৫৯। কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বোরো বীজ সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্রসহ জেলার ১ শ ১৪ জন বীজ ডিলারের মাধ্যম ওই বীজ বিক্রি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । চলতি মৌসুমে বোরো চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ. ম মেফতাহুল বারী। খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে চলতি ২০১৯-২০২০ রবি মৌসুমে বোরো চাষ সফল করতে ৩ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।

জেলায় বোরো চাষ সফল করতে সারের মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। মজুদ সারের মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ২ হাজার ৩২৭ মে. টন, টিএসপি ১ হাজার ৫৪৪ মে. টন, এমওপি ১ হাজার ৫৯৪ মে. টন এবং ডিএপি রয়েছে ১ হাজার ৪৪২ মে. টন। নভেম্বর মাসে বরাদ্দ দেওয়া সারের মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ৬ হাজার ৩৭৮ মে. টন, টিএসপি ২ হাজার ৯২২শ মে. টন, এমওপি ৪ হাজার ৫শ ৬৭ মে. টন ও ডিএপি ৩ হাজার ৭০৩ মে. টন। স্থানীয় ব্যাংক বিশেষ করে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বোরো চাষে কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণের ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান