ঝিনাইদহের জঙ্গি আস্তানার অভিযান শেষ

ঝিনাইদহের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সেখান থেকে বিপুল বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।

শনিবার ২২ এপ্রিল বেলা ২টার দিকে চার ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের ‘সাউথ প’ বা দেিণর থাবা নামের এ অভিযান শেষ হয়।

ঘটনাস্থল ত্যাগ করার আগে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহাম্মদ অভিযান শেষ হওয়ার কথা জানান।

বাড়িটিতে ২০টি কেমিক্যাল কন্টেইনার, ছয়টি বোমা, তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট, নয়টি সুইসাইডাল বেল্ট, ১০০ প্যাকেট লোহার বল, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, বোমা তৈরির বৈদ্যুতিক সার্কিট, বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম, জিহাদি বই, পিস্তল, একটি চাপাতি, একটি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয় বলে জানান দিদার।
বেলা ১০টার দিকে অভিযান শুরুর পর দিদার বলেছিলেন, “সেখানে ইতোমধ্যেই কিছু বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪টি তরল পদার্থ ভরা কন্টেইনার। ৩০ লিটারের এসব কন্টেইনারের লেবেলে ‘হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড’ লেখা রয়েছে।

ডিআইজি দিদার আহম্মেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, যে পরিমাণ বিস্ফোরক ও সার্কিট উদ্ধার করা হয়েছে তা দিয়ে বিপুল সংখ্যক বোমা তৈরি করা যেত।

শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের আব্দুল্লাহ নামে ধর্মান্তরিত এক ব্যক্তির এই বাড়িটি ঘেরাও করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

অভিযান চালানোর জন্য পুলিশের পাশাপাশি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ৩০ সদস্যের একটি দল ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ আসে।

ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রউফ মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তা, বম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের প্রধানসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে অন্তত সাতটি বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর পুলিশ মহাপরিদর্শক শহীদুল হক এ মাসের শুরুতেই বলেছিলেন, এ ধরনের আরও জঙ্গি আস্তানা দেশে রয়েছে।

আজকের বাজার: আরআর/ ২২ এপ্রিল ২০১৭