টাকা জমাতে চান, কিছু অভ্যাস বদলান

কাজের চাপে পড়ে বাইরে প্রায়ই লাঞ্চ করতে হয়? বা সহকর্মীদের জন্মদিনে মাসের একাধিক বার পার্টিও দিতে হয় নিশ্চই। অথচ এই সব করতে গিয়ে কখন যে আপনার পকেট গড়ের মাঠ হয়ে যায় তা বুঝতেও পারেন না। তবে বেশ কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখলে আপনার পকেট ভরে উঠতে পারে। কী ভাবে তা জেনে নিন।

আজকাল বহু সংস্থাই তাঁদের কর্মীদের বিনিয়োগের খতিয়ান জমা দিতে বলেন। সেই সব জমা দিতে গিয়ে অনেকেই দায়সারা ভাবে বিনিয়োগ করেন। এমনটা না করে বরং কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কোন কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করলে আয়কর বাঁচবে তা আগে থেকে জেনে নিন। এর পর একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই সব খাতে বিনিয়োগ করুন। এতে আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত তো হবেই, উল্টে আপনার কষ্টের পয়সাও জলে পড়বে না।

আপনার সংস্থা থেকে কি মেডিক্যাল বিল, ট্র্যাভেল বিল বা টেলিফোন বিলের রিইমবার্সমেন্ট মেলে? তবে আলসেমি না করে সে সব বিলগুলি সঠিক সময়ে অফিসে জমা করুন। দেখবেন মাসমাইনের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু টাকাও নিয়মিত জমা পড়ছে আপনার অ্যাকাউন্টে। প্রতি মাসে ওই টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন কোনও এসআইপি-তে। দেখবেন, নিয়মিত বিনিয়োগের একটা অভ্যাস সহজেই গড়ে উঠেছে।

বাড়ির খাবার না খেয়ে অফিসের ক্যান্টিনেই প্রতি দিন লাঞ্চ সারেন? ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা-কফি বা স্ন্যাক্‌সও নিশ্চয় অফিসেই খান! এ বার থেকে এই অভ্যাসটা বদলে ফেলুন। অফিসের ক্যান্টিনে খাবার না খেয়ে বরং বাড়ি থেকে নিজের লা়ঞ্চ তৈরি করে নিয়ে আসুন। অফিসে এক-আধ বার চা-কফি খেতেই পারেন। তবে যদি অতিরিক্ত চা-কফির নেশা থাকে তবে একটি টি-কফি মেকার সঙ্গে রাখুন। তেষ্টা পেলে অফিসেই বানিয়ে নিন চা-কফি। নিজের ডেস্কের ড্রয়ারে চিপ্‌সের প্যাকেট বা বাদাম ভাজার মতো স্ন্যাক্‌স রেখে দিন। টুকটাক কিছু খেতে ইচ্ছে করলে আর বাইরে যেতে হবে না। সময় তো বাঁচবেই, সঙ্গে টাকারও বেশ সাশ্রয় হবে।

অফিসের কাজে কি নিয়মিত ট্র্যাভেল করতে হয়? তবে ট্র্যাভেল অ্যালাউন্স থেকেও বেশ কিছুটা সাশ্রয় করতে পারেন। যদি সম্ভব হয় তবে আপনার সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একযোগে মান্থলি ট্র্যাভেল অ্যালাওয়েন্স চেয়ে নিন। ট্র্যাভেল করতে গিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে না উঠে বরং কোনও বন্ধুর বাড়িতে থাকুন। একান্তই যদি হোটেলে থাকতে হয় তবে সেখানকার রেস্তরাঁয় না খেয়ে স্থানীয় রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া সারুন। ট্র্যাভেল অ্যালাওয়েন্স থেকেই বেঁচে যাবে অনেক টাকা।

আজকাল বহু সংস্থাতেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর অপশন থাকে। মাসের মধ্যে একাধিক দিন বাড়িতে বসে কাজ করলে হয়ত ইন্টারনেট বা ইলেকট্রিসিটি খরচ বাড়বে তবে আপনার ফুড বা ট্র্যাভেল এক্সপেন্স কমে যাবে অনেকটাই।

বহুজাতিক বহু সংস্থাতেই জিম থাকে। বছরে একগাদা টাকা খরচ করে কোন জিমের মেম্বার না হয়ে বরং অফিসের জিমেই খানিকটা ঘাম ঝরিয়ে নিন। নিয়মিত ব্যায়ামে সুস্থ তো থাকবেনই, সঙ্গে আপনার পকেটও হাল্কা হবে না।

অফিস থেকে পিক-আপ বা ড্রপের সুবিধে থাকলে তার সদ্ব্যবহার করুন। নিয়মিত ট্যাক্সিভাড়া খরচ না করে বা মেট্রোর ভিড়ে গুঁতোগুঁতি না করে বরং অফিসের পিক-আপ বা ড্রপ সার্ভিসের ফায়দা নিন। হিসেব করে দেখবেন, আপনার মূল্যবান সময়ের পাশাপাশি টাকারও সাশ্রয় হচ্ছে।

আরএম/