ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে পাট চাষে সুদিনের স্বপ্নে কৃষক

জেলার হরিপুর উপজেলার কৃষকরা গত বছরের চেয়ে চলিত বছর বেশি জমিতে পাট চাষ করেছে ।এ জেলার সীমান্ত উপজেলার কয়েক শত পাট চাষি প্রতিবছর লাভ-ক্ষতির হিসেব না করেই পাটচাষ করে। তবে উৎপাদন ভালো হওয়ায় পাট চাষে সুদিনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। আর ভালো দাম পাওয়ার আশাও করছেন এবার। যদিও শুরু থেকে উৎপাদন খরচ বেশি ও পাটগাছ থেকে আঁশ ছাড়ানোর শ্রমিক সংকটের মধ্যে কাঙিক্ষত দাম না পাওয়াতে হতাশ ছিলো কৃষকরা। তবে এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। আর পাটের দাম ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি তবে প্রথমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পাট ভিজাতে সমস্যা হলেও এখন পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতে পাট ভিজানো যাচ্ছে।

তবে বর্তমানে পাটের বাজার দর পেয়ে খুশি উপজেলার পাট চাষিরা। পাট ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, প্রতি মণ পাট ২৫০০-৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছে চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তোষা, কেনাফ এবং দেশী প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উপজেলার আমগাঁও এলাকার পাট চাষি আব্দুল খালেক জানান, গত বছরে প্রত্যেক মণ পাট বিক্রি হয়েছে, ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ৮ থেকে ১১ মণ। প্রতি খচর হয়েছে ৬-৮ হাজার টাকা।

গেদুড়া ইউনিয়নের চাষি মুনিরউদ্দীন বলেন, পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাতা না হওয়ায় পাট বড় হতে দেরি হয়েছে। পরে বৃষ্টি হওয়াতে শুধু পাট গাছ বড় হয়েছে। আঁশ তেমন মোটা না হওয়ায় ফলন একটু কম হয়েছে। তবে দাম ভালো পাওয়ায় লাভ হয়েছে। এরকম বাজার থাকলে আগামীতে আরও পাট চাষ করবো। হরিপুর ইউনিয়নের কৃষক রজব আলী জানান, এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। আর পাটের দাম ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি তবে প্রথমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পাট ভিজাতে সমস্যা হলেও এখন পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতে পাট ভিজানো যাচ্ছে।

এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা কৃষি সহকারী কর্মকর্তা গুলজার হোসেন বলেন, চলিত মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হওয়ায় লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর মণ প্রতি ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা বেশি পাচ্ছেন কৃষকরা। এমন দাম পেলে আগামীতে পাট চাষে আরও আগ্রহী হবেন কৃষকরা। আর এ উপজেলায় পাটের চাষ বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তথ‌্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান