ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কতিপয় শিক্ষার্থীদের হামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কর্মকর্তা, আনসার ও ড্রাইভার-কর্মচারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। বিএসএমএমইউ’র বহির্বিভাগের টিকেট কাটা নিয়ে কথাকাটাটির মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। বিএসএমএমইউ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হামলাকারীরা লাঠি, সোটা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১টি এ্যাম্বুলেন্স, ১টি বাসসহ কমপক্ষে ৮টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের প্রধান ফটকের কাচের দরজা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলে। হামলার ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এই হামলার ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক দুপুর ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পিয়াস, সাব্বির, নাঈম ইসলাম, সাগর শাহরিয়ার নিয়ম বহির্ভূতভাবে টিকেট চাওয়া নিয়ে পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. খালিদ হোসেনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার খবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ঢাবির ২ জন সহকারী প্রক্টর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিমউদ্দিন হলের ভিপি মোঃ ফরাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকের অফিসে আসেন এবং এই ঘটনার খবর শাহবাগ থানার পুলিশ প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে শাহবাগ থানা পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, সহকারী প্রক্টর কে এম তারিকুল ইসলামসহ ঢাবি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি ও বিষয়টি সমাধানের লক্ষে আলোচনায় বসেন। কিন্তু আলোচনারত অবস্থায় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে কবি জসিমউদ্দিন হলসহ ঢাবির ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী স্বশস্ত্র অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ ও ২নং গেট দিয়ে প্রবেশ করে গাড়ি ভাঙচুর করে এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ড্রাইভার ও কর্মচারীসহ কমপক্ষে ২০ জনকে পিটিয়ে আহত করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই চার শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানা পুলিশ নিয়ে যান। ঢাবি শিক্ষার্থীদের হামলায় আহতরা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা হলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন, পরিবহন সুপারভাইজার সুরুজ, আনসার সদস্য মোঃ মনজুরুল ইসলাম, মোঃ নাজমুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ ইউসুফ আলী, মোঃ জুবায়ের হোসেন, মোঃ টিপু সুলতান, মোঃ শামীম হোসেন, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইদ্রিস, রুবেল, জামাল, ইসমাইল, আজাদ, জামাল-২, উজ্জ্বল, জনি, আল আমিন, চয়ন বিশ্বাস ও মাসুদ সিকদার। তথ্য-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান
