তথ্য অধিকার আইন জনগণের তথ্য প্রাপ্তির আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করেছে : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও দেশের জনগণের তথ্য প্রাপ্তির আইনি ভিত্তি নিশ্চিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২০’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বছর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তথ্য অধিকার সংকটে হাতিয়ার’, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, তথ্য প্রাপ্তি ও জানা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। তথ্য মানুষকে সচেতন করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও দেশের জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতের জন্যই প্রণীত হয়েছে ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’। এ আইন আবশ্যিকভাবে তথ্য প্রাপ্তিতে জনগণকে আইনি ভিত্তি দিয়েছে। এর ফলে সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার পাশাপাশি দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে দায়িত্ব পালন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ রচিত হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, এবছর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস এমন একটি সময়ে উদযাপিত হচ্ছে যখন কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব বিপদগ্রস্থ। এই ক্রান্তিকালে তথ্যের অবাধ, সঠিক ও সময়োচিত প্রকাশ একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের সুশাসন নিশ্চিত হবে। জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সমুন্নত থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি সবাইকে ধৈয্য ও সাহসের সাথে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সংকট মোকাবেলায় এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, তথ্য অথিকার আইনের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তথ্য কমিশন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং জনগণের তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাজমান বাধাসমূহ দূর করতেও অব্যাহত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তথ্য কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ জনগণকে তথ্য জানার অধিকার সম্পর্কে আরো সচেতন করবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।