তিনদিনের পুঁজিবাজার মেলা শুরু বৃহস্পতিবার

পুঁজিবাজার নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০১৬’।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট ৪০টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ সবার জন্য খোলা থাকবে।

মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান অর্থসূচক ডট কমের সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোমবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমান এবং অর্থসূচকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুন নাহার।

জিয়াউর রহমান জানান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএলসহ প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠান এক্সপোতে অংশ নিচ্ছে। এক্সপোর স্পন্সর হিসেবে রয়েছে- সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং শাহজীবাজার পাওয়ার লিমিটেড।

‘এক্সপো প্রতিদিন সকাল সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে। এক্সপোতে প্রবেশের জন্য কোনো টিকেট লাগবে না। এছাড়া প্রবেশে কূপনের র‍্যাফেল ড্রতে মোটরসাইকেল, মোবাইলসহ মূল্যবান সব পুরস্কার পাবেন দর্শনার্থীরা’ বলেন জিয়াউর রহমান।

তিনি জানান, ৩ দিনের এই এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন।

এক্সপোর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম. মসিউর রহমান।

এছাড়া এক্সপোর বিভিন্ন সেমিনারে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জ আজিজুল ইসলাম, বর্তমান কমিশনার মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী ও ড. স্বপনকুমার বালা, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য সুলতান-উল-আবেদিন মোল্লা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এক্সপো উপলক্ষে আগামী ৩০ নভেম্বর সকাল ১১টায় মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হবে; যা বিএসইসির অফিসের সামনে ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হবে।

জিয়াউর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার সম্পর্কে দেশের অধিকাংশ মানুষের কোনো ধারণা নেই। আবার অনেকেই এ বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। আবার ২০১০ সালের ধসের পর থেকে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আমাদের পুঁজিবাজার। এর সঙ্গে পুঁজিবাজার সম্পর্কে অযৌক্তিক ও অবাস্তব তথ্যও ছড়ানো হচ্ছে।

‘অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়াতে এই নেতিবাচক ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এই বাস্তবতা থেকে পুঁজিবাজারের নতুন ব্র্যান্ডিং এবং এই বাজার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার লক্ষ্যে গত বছর প্রথমবারের মতো ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোর আয়োজন করা হয়’ বলেন জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, এক্সপো উপলক্ষে ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি, তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এক ছাতার নিচে সমবেত হয়।

এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় যায়। তারই আলোকে এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোর আয়োজন করা হচ্ছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রতি নীতিনির্ধারকদের মনোযোগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। আমরা মনে করি, উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে পুঁজিবাজার। উন্নত দেশের কাতারে যেতে প্রয়োজনীয় বিশাল বিনিয়োগের যোগান দিতে পারে পুঁজিবাজার।

বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, তথ্য বিহীন কথাবার্তা বাজারকে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। তবে আমরা যেটা দেখেছি সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা পরিপূর্ণ জ্ঞান নিয়ে বিনিয়োগ করে না। যে কারণে আমাদের বাজারের গভীরত এতো কম।