দক্ষিণ এশীয় উপগ্রহ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত

দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার,৫ মে সন্ধ্যায় গণভবনে গণভবন থেকে দক্ষিণ এশীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত যৌথ ভিডিও কনফারেন্সের বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণে দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জনগণের উন্নতি সহযোগিতার নানাক্ষেত্রে দেশগুলোর সফলভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার ওপর নির্ভর করছে।’

বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও ভারতের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা এই ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনুষ্ঠানে সূচনা ও সমাপনী বক্তৃতা প্রদান করেন। আরো বক্তৃতা করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আশরাফ গণি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী থেসারিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এবং শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা শ্রীসেনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এই অঞ্চলকে একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেখানে আমরা সুপ্রতিবেশীর মতই বসবাস করে আমাদের জনগণের জন্য গঠনমূলক নীতির বাস্তবায়ন করতে পারি, যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণ দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোর দৃশ্যপট বদলে দেবে।

উল্লেখ্য, নেপালের কাঠমান্ডুতে ২০১৪ সালে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময়ই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য নিজস্ব উদ্যোগে উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান ভারতের স্যাটেলাইটে যুক্ত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় এর নাম পরিবর্তন করে সার্ক স্যাটেলাইটের পরিবর্তে সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট নামকরণ করা হয়।

আজকের বাজার: এলকে/ এলকে/৫ মে,২০১৭