দরিদ্র দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত ১০ কোটি ডোজ পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা

দরিদ্র দেশগুলোতে ২০২১ সালের মধ্যে কোভিড-১৯ এর জন্য চুড়ান্ত যে কোন ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত দশ কোটি ডোজ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক গ্রুপগুলো মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়েছে।
গত মাসের প্রাথমিক চুক্তি অনুসারে গাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশানের অর্থায়নে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি টিকার যে পরিমাণ ডোজ নিশ্চিত করা হয়েছিল নতুন ঘোষিত পরিমাণ তার দ্বিগুণ।
প্রতি ডোজের দাম পড়বে তিন মার্কিন ডলার।
এদিকে বিশ্ব ব্যাংক মঙ্গলবার বলেছে, সংস্থাটি দরিদ্র দেশগুলোকে ভ্যাকসিন ক্রয় ও বিতরণে সহায়তার জন্য এর পরিচালনা পর্ষদকে ১২শ’ কোটি ডলার অনুমোদনের কথা বলেছে।
বিশ^ ব্যাংকের একজন মুখপাত্র বলেন, জনগণ আস্থার সঙ্গে জীবন যাপন, সামাজিক কর্মকান্ড, চলাফেরা ও ভ্রমণ করতে না পারলে বিশ্ব অর্থনীতি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না।
এছাড়া কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে মানবিক লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোমবার নি¤œ ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ১২ কোটি দ্রুত টেস্ট কিট সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। তবে সরবরাহের কাজটি তহবিল পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থাটি আরো বলছে, আগামী ছয় মাসে ১৩৩টি দেশে করোনা দ্রুত শনাক্তের এই কিট বিতরণ করা হবে। এ কিট নিয়মিত পিসিআর কিটের চেয়ে দ্রুত, সাশ্রয়ী এবং সহজে বহনযোগ্য হবে।
সংস্থা প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের সামান্য তহবিল রয়েছে। এসব পরীক্ষা কিট কেনার জন্য এখন আমাদের পুরো অর্থ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারিতে বিশ্বে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৫ লাখ লোক আক্রান্ত এবং মারা গেছে ১০ লাখেরও বেশি লোক।