দশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা

এখন থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ নির্দেশনায় এই শিল্পে উদ্যোক্তাদের ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।

সাধারণভাবে পরিবারের সদস্য ১৫ জনের কম শ্রমিক নিয়ে গঠিত শিল্পগুলো কুটির শিল্পের আওতায় পড়ে। এছাড়া জমি ও ভবন বাদ দিয়ে মোট পুঁজি ১০ লাখ টাকার বেশি না হলেও তাকে কুটির শিল্প বলা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কখনও কখনও এমন হয় যে বড় ব্যবসার ক্ষুদ্র উদ্যোগ বা ক্ষুদ্র শিল্পকে কুটির শিল্পের মতোই মনে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে ওই উদ্যোগকে ক্ষুদ্র শিল্পই বলা হবে।

উল্লেখ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনে (বিসিক) নিবন্ধিত ও প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রতিষ্ঠানই ঋণে অগ্রাধিকার পাবে সে ঘোষণা আরও আগেই দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিসিকের কুটির শিল্পের মধ্যে রয়েছে খাদ্যপণ্য, পানীয়, বস্ত্র ও ক্ষুদ্র পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, কাঠ ও আসবাব, কাগজ থেকে উৎপাদিত পণ্য, তামাকজাত পণ্য, মুদ্রণ, রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য, রাবার ও প্লাস্টিক পণ্য, মৌলিক মেটাল ও নন-মেটালিক মিনারেল পণ্য, ইলেকট্রনিক্স ও চশমা, ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম, পরিবহন সরঞ্জাম, হস্তশিল্প, মেরামত কারখানা, মৌমাছি পালন, লবণ শিল্প প্রভৃতি।

বিসিক-এর তথ্য মতে, বিসিক শিল্প নগরীতে ৮৬৫টি রপ্তানিমুখী শিল্প ইউনিট আছে৷ আর এসব কারাখানায় উৎপাদিত পণ্যের ৫০ ভাগ রপ্তানি হয়।

সর্বশেষ তথ্য মতে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়াও বিসিকের চারটি আঞ্চলিক কার্যালয়, ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৫৯ জেলায় ৭৪টি শিল্প নগরী, ১৫টি নৈপুণ্য বিকাশ কেন্দ্র এবং তিনটি পার্বত্য জেলার ২২টি উপজেলায় ৩২টি উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে ২৯ লাখ ৬৩ হাজার লোক কাজ করছেন।

বাংলাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কুটির শিল্পে বছরে ৩৯ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকার পণ্য উৎপন্ন হয়।

আজকের বাজার: আরআর/ ০৩ জুলাই ২০১৭