দিনে গরম রাতে ঠান্ডা, ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি-জ্বর

শীত বিদায় নিয়ে বসন্তকাল শুরু হয়েছে। ফাল্গুনের এই দিনে মিনিট দুয়েক রোদে দাঁড়ালে বা হাঁটলেই শরীর থেকে ঘাম ঝরে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সন্ধ্যার পরই আবার কিছুটা ঠান্ডা ভাব অনুভূত হয়। মাত্র চার থেকে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ওঠানামা ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস! চিকিৎসকরা বলছেন, তাপমাত্রার এই আচমকা তারতম্যের সাথে মানিয়ে নিতে পারছে না শরীর। তাতেই গড়বড় করছে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি। সেই ফাঁক গলেই হামলা চালাচ্ছে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। শ্বাসনালীর সংক্রমণে কাবু হচ্ছে মানুষ। এর ফলে দেখা যাচ্ছে ঘরে ঘরে মানুষজন সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি এবারের শীতে বেশি সময় ধরে থাকলেও তার একটা ধারাবাহিকতা ছিল। তাই শরীরও ছিল খোশমেজাজে। কিন্তু দিন চারেক হল শীতের বিদায়বেলায় সকাল-সন্ধ্যায় ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়তেই গরম লাগছে। দুপুর-বিকাল ও সন্ধ্যা-রাতের মধ্যে সময়ের যা ব্যবধান, তার তুলনায় বেশি ফারাক তাপমাত্রায়। বিকাল চারটের ২৬-২৭ ডিগ্রিই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা-আটটায় নেমে আসছে ২১ ডিগ্রিতে। রাতে আরও কমছে। এদিকে বায়ুদূষণ আজকাল যেহেতু এমনিতেই শরীরকে কাবু করে রেখেছে, তাই সামান্য হামলাতেই ভেঙে পড়ছে রোগ প্রতিরোধের দেয়াল।

ভারতের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস বলেন,‘এসি-ফ্রিজ-গিজারের মতো শরীরেও থাকে থার্মোস্ট্যাট। সবসময়ে তা শরীরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ধরে রাখতে চায়। মুশকিল হলো, আচমকা বাইরের তাপমাত্রার বাড়াবাড়ি বদল হলে শরীরের থার্মোস্ট্যাট যথাযথ কাজ করে না। তখনই ইমিনউনিটি তার কর্তব্যে গাফিলতি করে ফেলে। হয় অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে(তখন অ্যালার্জির শিকার হয় শরীর) থবা সক্রিয়তা কমে যায়(তখন জীবাণু সংক্রমণের শিকার হয় শরীর)। দ্বিতীয়টিই বেশি।’ সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান