দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি পুনরায় চালু

মহান স্বাধীনতা দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী অপশক্তির হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাক্ষনবাড়িয়া স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি দীর্ঘ নয় মাস ধরে বন্ধ থাকার পর চালু করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি আজ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ফুল বিতরণ গার্ড ব্রেকে ফ্ল্যাগ সিগন্যাল প্রদানের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন ।
পরে নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টারের রুম, অপারেটিং রুম, ভিআইপি রুম, প্রধান বুকিং সহকারীর রুম,  টিকেট কাউন্টার, প্যানেল বোর্ড সহ সিগনালিং যন্ত্রপাতি, পয়েন্ট সিগন্যাল বক্সসহ লেভেল ক্রসিং গেটসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের আড়াই কোটি টাকা সমমান মূল্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওইদিনের ঘটনার পরের দিন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। দীর্ঘ প্রায় আটমাস পরে এটি আবার চালু করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগে যেভাবে যাত্রাবিরতি ছিল আজ থেকে একইভাবে যাত্রাবিরতি করবে। স্টেশনে ১৪টি আন্তঃনগর, ৮ টি মেইল এবং ৪ টি কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতি রয়েছে।
তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা বিরোধী, যারা বাংলাদেশ চায় না তারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া চলমান আছে ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তেলের দাম বাড়লেও রেলওয়ের ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।  তিনি বলেন,  রেল একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমরা জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণকে একটি সহজ এবং আরামদায়ক সেবা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। ট্রেনে ঢিল ছোড়া রোধে সচেতন হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় রেলপথ সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।