দুপুরে ভাত খাওয়ার পর ঘুমঘুম থেকে রক্ষা পেতে করণীয়

এই সমস্যা কাটাতে আপনি হয়ত ‘পাওয়ার ন্যাপ’, ‘পাওয়ার ওয়াক’ বা খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটা- এ ধরনের পদ্ধতির কথা শুনেছেন। তবে কখনও কি শুনেছেন ‘পাওয়ার ইটিং’য়ের কথা!

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয় একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, সমস্যার কারণটা হয়ত আপনার দুপুরের খাবারের তালিকা ও কৌশলে। আপনার কর্মক্ষমতা অনেকটাই নির্ভরশীল রক্তে শর্করার পরিমাণের উপর। তাই শর্করার মাত্রার তারতম্য যত বেশি হবে, আপনি ততই ক্লান্ত অনুভব করবেন। এর নাম ‘পোস্ট-লাঞ্চ স্লাম্প’।

খাবারের রকম ফের, মাত্রা কমানো বাড়ানো ইত্যাদি বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে এই ‘ভাত ঘুম’ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ধীরে খাওয়া: স্যান্ডউইচ, সালাদ কিংবা শরবত যাই খান না কেনো, সব খাবারকেই শরীর গ্লুকোজ বা শর্করায় পরিণত করে। পেস্ট্রি, চিনিযুক্ত পানীয়, ডেজার্টজাতীয় খাবারে মূলত সহজ কার্বোহাইড্রেইট যা শর্করার পরিমাণ হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়, আবার হঠাৎ করেই নিচে নেমে যায়। একারণেই এধরণের খাবার খেতে প্রথমে ভালো লাগে তবে পরে ক্লান্ত লাগে। তাই সহজ কার্বোহাইড্রেইটের বদলে জটিল কার্বোহাইড্রেইট ধরনের খাবার বেছে নিতে হবে। এসব খাবার শর্করা নিঃসরণ করে ধীরে, যা ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি হতে সময় লাগে। ফলে সারাদিন শরীরে শক্তির প্রবাহ বজায় থাকে। সবুজ শাকসবজি, হোল গ্রেইনজাতীয় খাবার যেমন ওটমিল ও পাস্তা, মটরশুঁটি, ডাল, আলু ইত্যাদি জটিল কার্বোহাইড্রেইটের উৎস।

দুই ঘণ্টা পরপর খাওয়া: দিনে তিনবেলা পেট পুরে খাওয়ার বদলে দুই ঘণ্টা বিরতিতে খাওয়া উচিত। এতে শরীরে শর্করার মাত্রা স্থির থাকে। তবে খেতে হবে অল্প পরিমাণে।

হালকা খাবার: ওজন বাড়ায় এমন ভারি খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এধরণের খাবার আপনাকে অলস করে তোলে।

ছবি: রয়টার্স।