দু’হাজার কোটি টাকা পাচার : ফরিদপুরের নিশানের দায় স্বীকার

২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা নিশান মাহামুদ শামীম দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসময় নিশান সেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি নিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

এরআগে শনিবার (২২ আগস্ট) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার উত্তরা থেকে সিআইডির একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন রাতে ফরিদপুর শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দু’দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সুবল চন্দ্র সাহা গত ১৮ জুন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন। ৭ জুলাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেফতার হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ আরও সাতজন।

এরপর বরকত ও রুবেলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তে নামে সিআইডি। তদন্তে প্রাথমিকভাবে দু’হাজার কোটি টাকা অবৈধ উপায়ে অর্জন ও পাচারের তথ্য পাওয়া গেলে গত ২৬ জুন শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে অবৈধ উপায়ে ২ হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করে সিআইডি।

এ মামলায় আদালতের মাধ্যমে রুবেল ও বরকতকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। ওই সময় এর সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করেন তারা। রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তি ও তথ্যানুযায়ী ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এ মামলায় আরও গ্রেফতার হন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান