দেশের অর্থনীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি দিন দিন চাঙ্গা হচ্ছে এবং মূল্যস্ফীতি ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। আমাদের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম আব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত উন্নয়ন সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবি সভাপতি হামিদ-উদ-জামান।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন উপকরণ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে গত কয়েক মাসে ধীরে ধীরে কমে আসছে। মূল্যস্ফীতি হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে মজুরির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মজুরির হার বেড়ে ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে শামসুল আলম বলেন, গত এক মাসে রেমিটেন্সের ভালো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিটেন্স এসেছে ১০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর জানুয়ারি মাসের হিসাব যোগ দিলে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ গঠনে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি ভূমিকা রাখে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির সঙ্গে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের কিছু কিছু জায়গায় দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো। দেশের মোট জিডিপির তুলনায় যে ঋণ সংস্থাটি দিয়েছে, তার পরিমাণ খুবই কম। আইএমএফের শর্তের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়েনি। আইএমএফ ঋণ না দিলেও আমাদের ভর্তুকি কমাতে হতো। সুতরাং আইএমএফ এর ঋণের সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে আইএমএফ আস্থাশীল বলে ঋণ প্রদান করেছে। দেশে ক্রমান্বয়ে সামাজিক বৈষম্য কমছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।