দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কম : বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা কম। রোগীদের জন্য প্রতি লাখে একজন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন। অথচ বাংলাদেশে মাত্র ৪০০ জন ইউরোলজি’র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। অন্যদিকে, নারী ইউরোলজি চিকিৎসকও  তুলনামূলক কম। এদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। আজ বিএসএমএমইউ’য়ে দ’ুদিন ব্যাপী ‘বিএইউএস এইউএ লেসন ইন ইউরোলজি কোর্স -২০২৩’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইউরোলজিক্যাল সার্জন ও  অ্যামেরিকান ইউরোলজিক্যাল এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে বিএসএমএমইউয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে এই অনুষ্ঠান হয়।

উপাচার্য চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পরও তাদের উচ্চতর  প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। ইতোমধ্যে আমরা ইউরোলজিসহ বেশ কিছু বিভাগে  ফেলোশিপ কোর্স চালু করেছি। ইউরোলজি বিভাগে ইউরোলজি অনকোলোজি ফেলোশিপ, পেডিয়াট্রিক ইউরোলজি ফেলোশিপ ও রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট বিষয়ে তিনটি ফেলোশিপ কোর্স চালু করেছি। এসব ফেলোশিপ শেষে একজন ইউরোলোজিস্ট আরও দক্ষ হয়ে ওঠবেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী চান, দেশের মানুষ দেশেই যেন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এর ফলে দেশের মানুষের বিদেশে চিকিৎসা নির্ভরতা কমেছে। তিনি বলেন, এই সুপার স্পেশালাইডজ হাসাপতালে মাত্র তিন লাখ টাকায় কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হচ্ছে। এটি পাশর্^বতী দেশে করতে গেলে ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়। পাশর্^বর্তী দেশে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে এক কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ আমরা মাত্র বিশ লাখ টাকায় সফল লিভার ট্রন্সপ্ল্যান্ট করতে সমর্থ হয়েছি।

বিএইউএস’র সভাপতি অধ্যাপক ডা.একেএম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিএসএমএমইউয়ের ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইসতিয়াক আহমেদ শামীম, ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের প্রধান প্রক্টর অধ্যাপক ডা:হাবিবুর রহমান দুলাল, যুক্তরাষ্ট্রের এইউএ’র ডা: প্রিয়া পদ্মানবান, ডা: মন্টু গুপ্তা, ডা: রবার্ট কেলেব কোভেল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৩ শতাধিক ইউরোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রেসিডেন্টরা অংশগ্রহণ করেন। (বাসস)