ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত

দেশে সম্প্রতি ধর্ষণের ক্রমবর্ধমান ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ঘৃণ্য এ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনের (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন) একটি সংশোধনী প্রস্তাব সোমবার অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে বৈঠকে সংযুক্ত ছিলেন।

বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রস্তাবিত আইনে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রাখা হয়েছে।

বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইনের ৯ (১) অনুচ্ছেদে সংশোধনী আনার অনুমোদনের জন্য খসড়া বিলটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করে। এতে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব দেয়া হয়। মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবের বিষয়ে একমত হয়েছে।’

তিনি বলেন, শক্তহাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন রোধে সরকার আইনটি সংশোধন করছে।

তবে সংসদ অধিবেশন আপাতত চলমান না থাকায়, সরকার সংশোধিত আইনটি একটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করতে পারে বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডের জন্য এখন সারাদেশে ব্যাপক প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। সুতরাং, এটি সাধারণ মানুষের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মৃত্যুদণ্ডের কারণে সম্ভাব্য অপরাধীরা ভয় পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিদ্যমান আইনের ৯ (৩) অনুসারে, কোনো নারী যদি ধর্ষণের শিকার হন এবং এতে আহত হন বা মারা যান তবে এর শাস্তি হলো প্রতিটি ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদকে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কেও অবহিত করা হয়।