নাটোরে পানি পরীক্ষাগারের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত

আর্সেনিক, আয়রনসহ ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরূপণ করে গুনগতমানের সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে জেলায় একটি পানি পরীক্ষাগার নির্মাণ করা হয়েছে। ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে পরীক্ষাগারের দ্বিতল ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। যন্ত্রপাতি সংযোজন ও জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে এ পরীক্ষাগার কাজ শুরু করবে।
জনস্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ‘পানির গুনগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় নাটোর শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ষ্টেডিয়ামের বিপরীতে জেলার জনস্বাস্থ্য ভান্ডার প্রাঙ্গনে চারতলা ফাউন্ডেশনের দ্বিতল ভবন নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ভবন নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় ৬০ লাখ টাকা। ভবনটির প্রথম তলায় পানি সংগ্রহ ও পানির ষ্টোরসহ অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং দ্বিতীয় তলায় থাকছে পরীক্ষাগার।
যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের গভীর অথবা অগভীর নলকূপের উৎপাদিত পানি নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে এ পরীক্ষাগার চালু হলে পানি পরীক্ষা করতে পারবেন। এ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে ব্যবহার করা পানিতে কোন ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি আছে কি না।
জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আলমগীর মিয়া বাসস’কে বলেন, আর্সেনিক, আয়রন, ক্লোরাইড, মাঙ্গানিজসহ পানিতে দ্রবিভূত ১৩টি উপাদানের উপস্থিতির হার নিরুপন করা হবে এ পরীক্ষাগারে। যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং একজন কেমিষ্টসহ জনবল নিয়োগ কার্যক্রম বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন আছে। এ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আগামী অর্থ বছর থেকে পানি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হবে।