নাটোরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরু

গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে নাটোরে নেসকোর আওতাধীন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে গ্রাহক পর্যায়ে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে যুগপৎভাবে চলছে প্রশিক্ষণ, গ্রাহক তথ্য সংগ্রহ ও মিটার প্রতিস্থাপন। এরআগে মঙ্গলবার বিকেলে শহরতলীর চক আমহাটী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন জানান, ‘নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেড এলাকায় পাঁচ লক্ষ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় নেসকো’র আওতাধীন ১৬ জেলার মধ্যে ৮ জেলায় পাঁচ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সংযোজন কার্যক্রম চলছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৪১৪ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। পরবর্তী পর্যায়ে নেসকো’র আওতাধীন অবশিষ্ট ৮ জেলায় ১৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সংযোজন করা হবে।
নেসকো (নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেড) এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুল আজিজ জানান, প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লক্ষ মিটার চায়না থেকে দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করা হয়েছে। মিটারের গুণগতমান নিশ্চিত হওয়ার জন্যে আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী তৃতীয় দেশ থেকে মান পরীক্ষা করা হয়েছে। আশাকরি, গ্রাহক পর্যায়ে মিটারের কার্যকারিতা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না।
নেসকো’র নাটোর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এনামুল আজীম ইমান জানান, নাটোরে গ্রাহক পর্যায়ে ২৮ হাজার ২০০টি স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সংযোজন করার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নেসকোর প্রকৌশলী পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, গ্রাহক পর্যায়ে আচরণ সংক্রান্ত লাইনম্যান এবং কর্মরত অন্যান্য জনবলের প্রশিক্ষণ আজ দুপুরে প্রদান করা হচ্ছে। তিনটি টিম যুগপৎভাবে গ্রাহক তথ্য সংগ্রহ ও মিটার প্রতিস্থাপন কাজ শুরু করেছে আজ থেকে।
এ কর্মকর্তা আরো বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে মিটার প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে মিটারের মূল্য বাবদ কোন অর্থ পরিশোধ করতে হবে না। এ মিটার সংযোজনের ফলে গ্রাহকবৃন্দ অনলাইনে মিটারে টাকা রিচার্জ করতে পারবেন এবং গ্রাহকের বিল পরিশোধ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হবে। গ্রাহকবৃন্দকে প্রতিমাসে মিটারের মূল্য বাবদ ৪০ টাকা প্রদান করতে হলেও এক শতাংশ হারে বিদ্যুৎ খরচের প্রাপ্ত রেয়াতে সাশ্রয় হবে অনেক বেশী। বিদ্যুৎ বিলের কপি প্রাপ্তি ও সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না। পেপারলেস কার্যক্রম বাস্তবায়নে এগিয়ে যাবে দেশ।
নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল বাসস’কে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’র আধুনিক রুপ ডিজিটাল বংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরীর কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে এবং জনদুূর্ভোগ কমছে।
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, এখন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের মান উন্নয়ন ও গ্রাহক সেবার পরিধি বাড়ানোর কাজ চলছে। নতুন প্রযুক্তিতে কারো কারো মনে ভীতি থাকলেও পরবর্তীতে সকল প্রযুক্তিতে সুফলই পাওয়া গেছে।