নারীর আর্থসামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান হয় : ইন্দিরা

নারীর আর্থসামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান হয়। এজন্য দরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা তৈরি ও সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্টপোষকতা এবং আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এ কথা বলেছেন।
আজ রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে স্ট্রেনদেনিং জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেটিং প্রকল্পের আওতায় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট (উইড) ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেটের মূল লক্ষ্য বৈষম্য হ্রাস ও সুযোগের সমতা সৃষ্টি করা। সরকার এ বৈষম্য নিরসনে ৪৩টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন করেছে।
জেন্ডার বাজেট বৃদ্ধির হার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট বাস্তবায়ন করে আসছে। এ অর্থ বছরে বাজেট ছিল ২৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৩০.৮২ শতাংশ। জিডিপির ৫.৫৬ শতাংশ। গত ১০ বছরে বরাদ্দ বেড়েছে ৫ গুণ, মন্ত্রণালয় বেড়েছে ৩৯টি।
ইন্দিরা বলেন, নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করে একটি সমতাপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ । সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। এছাড়াও এশিয়াতে শীর্ষে অবস্থান করছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় ৪৩ টি মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিল। সভায় ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তারা নারী উন্নয়নে গৃহীত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ও নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার হালনাগাদ অগ্রগতি তুলে ধরেন।