নিজেদের প্রতিপক্ষ আরামবাগ নিজেই!

৩-১ গোলের ম্যাচে শেখ জামালের তিনটি গোলের প্রতিপক্ষ আরামবাগ খেলোয়াড়রা। প্রথম দুটি গোল পুরোপুরি এসেছে আরামবাগের খেলোয়াড়দের যৌথ ভুলে। অর্থাৎ আত্মঘাতী। তিন নম্বর গোলটিতেও আছে আরামবাগের গোলরক্ষক আক্কাস মিয়ার ভুল।

১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও একের পর এক ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে আরামবাগকে ম্যাচ হেরে। আরামবাগ কোচ মারুফুল হকের কথায়, ‘আমার গোলরক্ষক অনভিজ্ঞ। ডিফেন্ডারের কাছ থেকে ক্লিয়ার হওয়া বলটি হাত দিয়ে ধরবে না পা দিয়ে রিসিভ করবে এটাই বুঝে উঠতে পারেনি।’ টানা ১৪ ম্যাচ পর আগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে হাসি ফুটেছিল মারুফুলের মুখে, তিন দিনের ব্যবধানে আবার সেটা মিলিয়ে গেল।

আরামবাগের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৪ মিনিটে ডান প্রান্তে ডি বক্সের ওপর থেকে বডি ডজে ইয়াসিনকে ছিটকে ফেলে দূরের পোস্টে বল পাঠালেন মোহাম্মদ জুয়েল। সে বল থেকে গোল করেছেন বুকোলা। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন এক গোল উপহার দিয়ে খানিক পরেই যে ‘আত্মঘাতী’ হয়ে উঠবে আরামবাগ, শেখ জামালের পাঁড় সমর্থকরেরাও হয়তো সে আশা করেননি।

৩৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে জামালের মিডফিল্ডার এনামুল হকের লব ডিফেন্ডার জালাল মিয়া বিপদমুক্ত করলে নিজেদের গোলরক্ষক আক্কাসের কাছে যায়। কিন্তু বল গোলরক্ষকের গ্লাভস গলে জালে। ‘এভাবেও যে গোল হজম করা যায়’, তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বিরতিতে যাওয়ার আগে আবারও আত্মঘাতী গোল। এনামুলের কর্নারে শাহরিয়ার বাপ্পী হেডে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে ঢুকিয়ে দেন। বিরতির পর প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগে শেখ জামাল হয়ে উঠে আগ্রাসী। ৬৩ মিনিটে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং প্লেসিংয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ায়।

দু’দলই ছোট ছোট পাসে আক্রমণের মালা গেঁথেছে। আবার প্রয়োজনে এরিয়াল থ্রুতে চেষ্টা করেছে গোলমুখ খোলার। সেট পিসগুলোতেও ছিল বৈচিত্র্য। সবকিছু মিলিয়ে মোট চার গোলের উপভোগ্য ফুটবলই হলো। ম্যাচ শেষ ভাগ্য খারাপ বলে কপাল চাপড়িয়েছে আরামবাগ, দৃষ্টিকটু বলতে এই যা। আর চতুর্থ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেখ জামাল।

আজকের বাজার: সালি / ২১ আগস্ট ২০১৭