নড়াইলে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

জেলায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।বিগত কয়েকদিন যাবত বৃষ্টিপাত ভালো হওয়ায় কৃষকরা পাট কেটে জাগ দেয়া শুরু করেছেন। সদর উপজেলা, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার ৫০শতাংশ জমির পাট কাটা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাট চাষে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার স্বপ্নে বিভোর জেলার কৃষাণ-কৃষাণীরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৩ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১হাজার হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে।কৃষি বিভাগ এ জেলায় ২২হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে ২লাখ ৬৮ হাজার ৪১০ বেল পাট উৎপাদনের সম্ভাবনা বয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,নড়াইল সদর উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে।আবাদ হয়েছে ৭হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে।আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৯০৩ বেল পাট।লোহাগড়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১হাজার ৭শ’ ৩৫হেক্টর জমিতে।আবাদ হয়েছে ১২হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে।আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১লাখ ৩৯ হাজার ৭৮২ বেল পাট।কালিয়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে।আবাদ হয়েছে ৪হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে।আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭হাজার ৭২৫ বেল পাট।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় জানান,কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পাট চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ,পরামর্শ,মাঠ দিবস,উঠান বৈঠক,নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।গত কয়েক বছর বাজারে পাটের দাম সন্তোষজনক থাকায় এ অঞ্চলে পাটের চাষ দিন দিন বাড়ছে । যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জুট মিলে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা পাট চাষে ঝুঁকছেন বলে তিনি জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার জানান, পাট ও পাটখড়ির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরাও পাট চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। প্রতি  বছর পাট চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।গত কয়েক বছর ধরে অনেক প্রান্তিক ও বর্গাচাষি অর্থকরী এ ফসল চাষে সাফল্য পেয়েছেন। লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাট চাষ। পাট ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।