নড়াইলে যানবাহনে ১ মাসে ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

নড়াইল ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন যানবাহনে জরিমানা করে গত এক মাসে ১২ লাখ ৪৫ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।
নড়াইল জেলা ট্রাফিক পুলিশ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সড়ক বিভাগের শৃংখলা ফিরে আসায় আগের তুলনায় কমেছে সড়ক দুূর্ঘটনা।সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত জনসাধারণ নির্বিঘেœ যাতায়াতের সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রয়োগ করে গত মার্চ মাসে বিভিন্ন যানবাহনে জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ ১২ লাখ ৪৫ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।এছাড়া অনটেষ্ট (পরীক্ষামূলক) লেখা মোটরসাইকেলগুলো বিআরটিএ এর মাধ্যমে লাইসেন্সের আওতায় আনা সম্ভবপর হয়েছে। অনটেষ্ট (পরীক্ষামূলক) লেখা মোটরসাইকেল লাইসেন্সের আওতায় আসায় নির্দিষ্ট ফি সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার পাশাপাশি আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
নড়াইল জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) আনন্দ চন্দ্র রায় জানান, বাস,ট্রাক, প্রাইভেট কার, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা ।গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেন্স না থাকলে,বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো,ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চালানো,উল্টোপথে কিংবা বিপরীত দিক দিয়ে গাড়ি চালানো।ড্রাইভার ছাড়া কনডাক্টর কিংবা হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো।রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যানজট কিংবা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি,মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো,পরিবেশ দূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ি চালানো।গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা।চালকের সিটবেল্ট না বাঁধা,চালক বা কনডাক্টর কর্তৃক যাত্রীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ কিংবা হয়রানি করা।বাসে প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট আসন না রাখা,ছাদে যাত্রী বহন করা,দুূর্ঘটনার কথা থানায় বা পুলিশকে না জানানো। দুূর্ঘটনায় পতিত ব্যক্তিকে হাসপাতালে না নেয়া,ফুটপাত দিয়ে গাড়ি চালানে। মোটরসাইকেলে তিনজন চলা, হেলমেট পরিধান না করায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জরিমানা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করে থাকে ট্রাফিক পুলিশ।পুলিশ সুপারের নির্দেশে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশ কড়াকড়ি ভূমিকা গ্রহণ করায় গত মার্চ মাসে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ জরিমানা আদায় সম্ভবপর হয়েছে বলে জানান ট্রাফিক ইন্সপেক্টর।
নড়াইল পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম জানান,মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ আইন-শৃংখলার উন্নতি এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়ন করে সড়ক বিভাগে শৃংখলা ফেরানো পুলিশ বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্যর মধ্যে পড়ে।এ কাজ বাস্তবায়নে পুলিশ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। জেলার সর্বত্র শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখা,অপরাধ দমন এবং সড়কে যান চলাচলে শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।