নড়াইলে ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির আবাদ

চলতি মৗসুমে জেলার তিন উপজেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির আবাদ হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫হাজার মেট্রিক টন শাকসবজি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।বাজারে শাকসবজির সরবরাহ মোটামুটি ভালো থাকায় দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে ক্রেতাও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে জেলা সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন শাকসবজি। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির আবাদ হয়েছে ১ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে। এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ হেক্টর বেশি জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির আবাদ হয়েছে ৬শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে এবং কালিয়া উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির আবাদ হয়েছে ১হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার, কালিয়া উপজেলার এবং লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির সমারোহ। কৃষাণ-কৃষাণীরা শাকসবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখায় অনেক চাষি বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আসছেন। সবজি চাষ করে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার স্বপ্নে বিভোর এ জেলার কৃষাণ-কৃষাণীরা।
জেলা সদরের রুপগঞ্জ বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া খুচরা বাজারে ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে, পালংশাক প্রতিকেজি ৩০ টাকা দরে, বেগুন ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে, টমেটো ২০ টাকা দরে, লাউ প্রতিটি প্রকার ভেদে ২৫ টাকা থেকে ৩৫টাকা দরে, ডাটা প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০টাকা, উচ্ছে প্রতিকেজি ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে, পুঁইশাক প্রতিকেজি ৩০টাকা,ঢেড়স প্রতিকেজি ৪০টাকা দরে, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় জানান, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে শাকসবজি চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ, পরামর্শ, মাঠ দিবস, উঠান বৈঠক, নতুন নতুন জাতের শাকসবজির বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক চাষিদের প্রয়োজনীয় কৃষি লোন প্রদান করেছে। বাজারে সারেরও কোন সংকট নেই। বিভিন্ন জাতের শাকসবজির চাহিদা ব্যাপক থাকায় এ অঞ্চলে সবজির আবাদ দিন দিন বাড়ছে বলে তিনি জানান।