‘পছন্দের সেরা নীল জলের দ্বীপ’

এশিয়ার কোনো এলাকা হিসেবে প্রথমবারের মতো পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে ইন্দোনেশিয়ার ‘নীল জলের’ বালি দ্বীপ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রিপ অ্যাডভাইজর এমন খবর প্রকাশ করেছে।

ট্রিপ অ্যাডভাইজরের বরাত দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, বালি ছাড়াও এশিয়ার দেশ হিসেবে কম্বোডিয়ার সিয়েম রিপ এলাকা অষ্টম এবং থাইল্যান্ডের ফুকেট দশম স্থান অধিকার করেছে।

খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ট্রিপ অ্যাডভাইজর বালিতে এক অনুষ্ঠানে ট্রাভেলার্স চয়েজ অ্যাওয়ার্ড-২০১৭ ঘোষণা করে। ওই ঘোষণায় জানানো হয়, বিশ্বের সেরা ৪১৮টি পর্যটন এলাকে পেছনে ফেলে পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে বালি।

ট্রিপ অ্যাডভাইজর প্রকাশিত পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ এলাকার অন্য ৭টি হচ্ছে- লন্ডন, প্যারিস, রোম, নিউইয়র্ক, ক্রিট, বার্সেলোনা ও প্যারাগুয়ে।

প্রাচীন ও আধুনিক নৃত্যকলা, ভাস্কর্য, চিত্রকলা, চামড়া, ধাতবশিল্প ও সঙ্গীতের মতো উচ্চতর শিল্পকলা আর সুনীল জলরাশি ঘেরা একটি দ্বীপ রাজ্যের নাম বালি। ইন্দোনেশিয়ার এই দ্বীপ প্রদেশটি নুসা পেনিদা, নুসা লেমবনগান ও নুসা সেনিনগান দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে। এর রাজধানী দেনপাসার দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত।

জানা যায় প্রাচীন বালিতে পসুপ্ত, ভৈরব, শিব সিদান্ত, বৈষ্ণব, বৌদ্ধ, ব্রহ্মা, ঋষি, সরা ও গণপতি – এ নয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের আবাস ছিল। তাই বালির সংস্কৃতির পুরোটাই ভারতীয়, চীনাদের দ্বারা প্রভাবান্বিত।তবে ভাষাগত দিক দিয়ে বালিবাসী ইন্দোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জ, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার অধিবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত।

কোরাল ট্রায়াঙ্গেলের অংশ হিসেবে এলাকাটিতে সর্বোচ্চসংখ্যক সামুদ্রিক প্রজাতিতে ভরপুর। কেবলমাত্র এখানেই পাঁচ শতাধিক প্রজাতির প্রাণীদের গড়া প্রবাল প্রাচীর রয়েছে। বালি দ্বীপে রয়েছে প্রায় ২৮০ প্রজাতির পাখি।

বিংশ শতকের গোড়ার দিকে পর্যটন শিল্পের দিকে ঝুঁকে পড়ে এ শহরটি। বর্তমানে পর্যটনশিল্প আয়ের প্রধান ক্ষেত্র ও ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম সম্পদশালী অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/২৯এপ্রিল,২০১৭