পদ্মাবতীর মুক্তি নিয়ে এ কেমন বিতর্ক!

রাজস্থানের সিনেমা হলে ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি দেওয়া হবে না বলে দাবি তুলেছে সেখানকার পরিবেশক ও হলমালিক সমিতি। ইতিহাস বিকৃতির পর এবারে হিন্দুত্ববাদ ও রাজপুত নারীদের হেয় করার অভিযোগ উঠল ‘পদ্মাবতী’র বিরুদ্ধে।

চিতোরের সাহসী রানি পদ্মিণীর জীবন নিয়ে নির্মিতব্য ‘পদ্মাবতী’ সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই জড়িয়েছে নানা বিতর্কে। দীপিকা পাড়ুকোন, শহীদ কাপুর ও রণবীর সিং অভিনীত এ ঐতিহাসিক সিনেমায় রানি পদ্মিণীকে খাটো করা হয়েছে, এ অভিযোগ রাজস্থানের ধর্মীয় সংগঠন শ্রী রাজপুত করনি সেনাদল। ছবির ট্রেইলারে ব্যবহৃত ‘ঘুমর’ নাচের দৃশ্যে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে হিন্দু সংস্কৃতি ও ধর্মকে – এমনটাই দাবি করেছে দলটি।

ইন্ডিয়া টুডে জানায়, এক বিবৃতিতে রাজস্থানের সিনেমা হলে ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি দেওয়া হবে না বলে দাবি তুলেছে সেখানকার পরিবেশক ও হলমালিক সমিতি। বিবৃতিতে বলা হয়, “শ্রী রাজপুত করনি দলের সঙ্গে সমঝোতায় না আসলে রাজস্থানের কোনো সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হবে না পদ্মাবতী’। সঞ্জয় লীলা বনসালীর এ সিনেমায় ইতিহাস বিকৃতি এবং সাধারণ জনগণের মনে আঘাত লাগার মতো উপাদান আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে।

সাক্ষাৎকারে জয়পুর রাজ পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘পদ্মাবতী’-র একটি স্বপ্নদৃশ্যে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজী ও রানি পদ্মিণীর রোমান্টিক দৃশ্য দেখানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, রানির প্রতি গোপন লালসা থেকেই চিতোরগড় আক্রমণ করেছিলেন খিলজী। এটা মোটেও সত্যি নয়। তাছাড়া ‘ঘুমর’ নাচে ১৬০০ নারীকে নিয়ে খোলা উঠানে নাচতে দেখা গেছে রানিকে। রাজপুত সমাজে যা কল্পনারও বাইরে’।

তিনি আরও বলেন,‘রাণী পদ্মিণীর মতো একজন সাহসী ও দৃঢ়চেতা নারীর জন্য এটা ভীষণ অপমানের। রাজপুত নারীদের ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এ সিনেমায়। কেবল ইতিহাস বিকৃতি নয়, হিন্দুত্ববাদ ও হিন্দু সংস্কৃতিকেও অপমান করেছেন সঞ্জয় লীলা বনসালী’।

১ ডিসেম্বর মুক্তির দিন নির্ধারিত হয়েছে ‘পদ্মাবতী’র। এর আগে জয়পুরে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনসালীকে হেনস্থা করে ‘পদ্মাবতী’র শুটিং সেটে হামলা করেছিলো উগ্রপন্থী ধর্মীয় সংগঠন করনি সেনাদলের সদস্যরা।
আজকের বাজার : সালি / ১৫ নভেম্বর ২০১৭